মোঃ আলাউদ্দিন মুন্সী (আলাল)
ফরেনসিক ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য নিহত তনু’র লাশ কবর থেকে তুলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে সিআইডি।
তনু হত্যার ৯ দিন পর বুধবার বেলা ১১টায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু’র লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। তনু’র লাশ উত্তলনের সময় সিআইডির ক্রাইমসিন ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরী ইউনিটের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কুমিল্লা পুলিশ, সিআইডি ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ মার্চ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ, সুরতহাল তৈরি ও পুনঃময়নাতদন্ত করতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন কুমিল্লার একটি আদালত। তনু হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি একেএম মনজুর আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
লাশ উত্তোলনের সময় ঢাকা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম, কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, এ কাজে দায়িত্ব পাওয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কুমিল্লা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ও বড় ভাই নাজমুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১০ টার কিছু পরে তনুর কবরের চারপাশ কাপর দিয়ে ঢেকে দেয় পুলিশের সদস্যরা। পরে সিআইডির নো এন্ট্রি লিখা ব্যারিক্যাড দেয়া হয় চার দিকে। কুমিল্লা জেলা পুলিশ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সিআইডি ও একাজে সম্পৃক্ত ব্যাক্তিরা ছাড়া করস্থানে ২শ গজের মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। প্রায় এক ঘন্ট কবর থেকে লাশ উত্তলন করে জরুরী সকল কাজ শেষে করে তনু’র অর্ধ গলিত মরদেহ নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের উদ্যেশে রওনা দেয় পুলিশের কর্মকর্তারা। কুমিল্লা কবরস্থানের পাশে মাঠে একটি সামিয়ানা টানানো হয়। সেখানে প্রশাসনের লোকজন অবস্থান করেন। সকাল থেকে কবরস্থানের পাশে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। তাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যদের বেগ পেতে হয়।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন সাংবাদিকেদর বলেছেন, ‘তনু হত্যার সঠিক বিচারের জন্য লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। আমি মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার চাই।’
কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, লাশ উত্তোলন করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হবে। অধিকতর আলামত সংগ্রহের পর সেখান থেকে আজই আবার লাশ এনে আগের কবরে দাফন করা হবে।
No comments:
Post a Comment