Translate

Monday, March 28, 2016

বিশ্বমিডিয়ায় মাশরাফির বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা

স্পোর্টস রিপোর্টার : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। ঢাকায় পৌঁছে বিমানবন্দরে টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা সাংবাদিকদের সঙ্গে বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সের বিষয়ে কথা বলেন। এই সময় দেয়া মাশরাফির বক্তব্য নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি লিখেছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ায় আইসিসির নিষেধাজ্ঞাকে দুষলেন মাশরাফি। গালফ টুডে লিখেছেন, বাদ পড়ার জন্য বোলারদের উপর নিষেধাজ্ঞাকে দুষলেন মুর্তজা। দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক গণমাধ্যম সুপার স্পোর্টস লিখেছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের জন্য আইসিসির নিষেধাজ্ঞাকে দুষলেন মুর্তজা। ডেইলি মেইল লিখেছে, বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার জন্য আইসিসির নিষেধাজ্ঞাকে দুষলেন মাশরাফি। মাশরাফি বিন মুর্তজা আসলে আইসিসিকে দোষ দিয়ে কিছু বলেননি। তিনি বলেছিলেন, টুর্নামেন্টের মাঝ পথে গিয়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল তার সাথে আমাদের মানিয়ে নেয়া কঠিন ছিল। তারা থাকলে হয়ত আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। যদিও আমরা সব ম্যাচে হেরেছি তারপরও আমরা প্রমাণ করেছি টি-টোয়েন্টিতে আমাদের হারানো কঠিন।

                                                                                wWw.FB.Com/mNews24

তারেক ইন্টারপোলকে বিভ্রান্ত করেছেন: পুলিশ

ইন্টারপোল থেকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রেড নোটিশ প্রত্যাহার কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধের দায়মুক্তি প্রদান করে না বলে দাবি করেছে পুলিশ সদর দফতর।
তাদের দাবি, লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তারেক রহমান ইন্টারপোলকে বিভ্রান্ত করে রেড নোটিশ থেকে নাম প্রত্যাহার করিয়েছেন। পুলিশ সদর দফতর থেকে বিষয়টি জানতে চেয়ে প্রত্যাশিত সাড়া পাওয়া যায়নি। সোমবার 'তারেক রহমানের ইন্টারপোল রেড নোটিশ সংক্রান্ত পুলিশ হেডকোয়াটার্সের বক্তব্য' শীর্ষক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলাসহ ১৩টি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি তারেক রহমান। গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে অনুরোধ করে পুলিশ সদর দফতর।
বিচারাধীন পলাতক আসামিকে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারির মাধ্যমে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা সম্পূর্ণ বিধিসম্মত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয়।
বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক প্রেরিত দলিলাদি ইন্টারপোল সচিবালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে সম্পূরক তথ্যাদি ও দলিলাদি চেয়ে তা বিশ্লেষণ করে রেড নোটিশ জারি করে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এনসিবি শাখা ধারণা করছে, উক্ত রেড নোটিশ জারির পর তারেক রহমান বিভিন্ন প্রকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক লবির মাধ্যমে কমিশন ফর দ্যা কন্ট্রোল এফ ইন্টারপোল ফাইলস (সিসিএফ) এর নিকট তার স্বপক্ষে বিকৃত ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করেন। এর প্রেক্ষিতে ইন্টারপোল প্রথমে রিভিউ ও পরে রেড নোটিশ বাতিল করে।
রেড নোটিশটি রিভিউ করার পর্যায়ে এর কারণ সম্পর্কে জানতে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, তারেক রহমান প্রটেকটিভ স্ট্যাটাসে আছে বিধায় তার রেড নোটিশ বাতিল করার সুযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রটেকটিভ স্ট্যাটাস বিষয়টি বোধগম্য না হওয়ায় কে বা কোন দেশ তাকে প্রটেকটিভ স্ট্যাটাস প্রদান করেছে জানতে চাওয়া হয়। এ বিষয়ে ইন্টারপোল থেকে কোনো সন্তোষজনক সাড়া পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়, রাজনৈতিক আশ্রয়ের মতো প্রটেকটিভ স্ট্যাটাসও বিদেশে আশ্রয় গ্রহণের অন্য একটি উপায়।
কোনো তদন্তাধীন ফৌজদারি মামলায়ও আসামিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিধান ও দৃষ্টান্ত রয়েছে। তারেক রহমান একাধিক ফৌজদারি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি যা আদালতে বিচারাধীন। এরপরও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারিকৃত রেড নোটিশ কী কারণে প্রত্যাহার হবে তা বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ ইন্টারপোলের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। তবে যে মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়েছিল তা কোনোক্রমেই রাজনৈতিক মামলা নয়।

                                                                    wWw.FB.Com/mNews24

উচ্চশিক্ষার মান যাচাইয়ে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইনের খসড়া অনুমোদন


দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে অ্যাক্রেডিটেশন (স্বীকৃত) কাউন্সিল আইন ২০১৬-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণে এবং বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে এটা যুগান্তকারী আইন।
১১ সদস্যের এই কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেবেন সরকার নিযুক্ত একজন চেয়ারম্যান। অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সনদ ছাড়া কোনো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উচ্চশিক্ষার সনদ দিতে পারবে না।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভুল তথ্য দিলে বা কোনো তথ্য গোপন করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কাউন্সিলের মূল দায়িত্ব হবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা, শিক্ষাকার্যক্রম যাচাই করে স্বীকৃতি দেয়া।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি বিভাগ, কোর্স বা প্রোগ্রামের (ডিসিপ্লিন) জন্য পৃথক কমিটি গঠন করে এ সম্পর্কে যাচাই করবে কাউন্সিল। এরপর ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে 'অ্যাক্রেডিটেশন ও কনফিডেন্স' সনদ দেয়া হবে। এই সনদের একটি নির্ধারিত মেয়াদ থাকবে। সনদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনে দিতে হবে।
এই কাউন্সিল যৌক্তিক কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা এর অধীন কোনো ডিগ্রি প্রোগ্রামের 'অ্যাক্রেডিটেশন ও কনফিডেন্স' সনদ বাতিলও করতে পারবে। কাউন্সিলকে তার কাজের জন্য সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
এছাড়া আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ১৯৮৫ সালের অধ্যাদেশটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আইনে রূপ দেয়া হল।
তিনি আরও বলেন, এতে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হচ্ছে গভর্নিং বডি করে ট্রাফিকিং ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থাপনা তৈরি করার নির্দেশনা রয়েছে এই আইনে।
প্রথম শ্রেণির বিমানবন্দরে উন্নীত করতে হলে যুগোপযোগী এই আইনটি করা দরকার ছিল বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এছাড়া আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ে কনটেইনার পরিবহন সার্ভিসকে স্বতন্ত্র কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালনার লক্ষ্যে কনটেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

                                                                       wWw.FB.Com/mNews24