Translate

Monday, March 28, 2016

কলেজ ছাত্রী তনুর কবর পাহারায় পুলি

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর কবর পাহারায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ আলামত সংগ্রহ ও পুন:ময়নাতদন্ত করার জন্য সোমবার বিকালে নির্দেশ দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম জয়নাব বেগম ।

এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশে মুরাদনগর উপজেলার নব গঠিত বাঙ্গরা বাজার থানার এএসআই কবির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মির্জাপুর গ্রামে গিয়ে রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে তনুর কবরের পাশে অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে।

রাত ১০টায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে লাশ উত্তোলন না করা পর্যন্ত কবরের পাশে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

সোমবার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি একেএম মঞ্জুরুল আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম জয়নাব বেগম কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ডিএনএ আলামত সংগ্রহ ও পুন:ময়নাতদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন।

এদিকে কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যায় জড়িত কোন আসামিকে আইনগত সহায়তা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা জেলা আইনজীবি সমিতি। সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. মো.মাহবুবুর রহমান।

তিনি জানান, মেধাবী ওই কলেজ ছাত্রীর নৃশংস হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত কোন আসামি গ্রেফতার করা হলে আমরা আইনগত সহায়তা দেবো না। সমিতির আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
                                                                          wWw.FB.Com/mNews24

কুমিল্লার দাউদকান্দি ও তিতাস এবং হবিগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৪

২৮ মার্চ, ২০১৬। সময়: ০৬.০২.PM
কুমিল্লা ও হবিগঞ্জে বজ্রপাতে চারজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার কুমিল্লার দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলায় দুজন এবং হবিগঞ্জের সদর উপজেলার চানপুরে ও মাধবপুর উপজেলার রাজনগরে দুজন বজ্রপাতে নিহত হন। আজ সোমবার বিকালে কুমিল্লার দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলায় বজ্রপাতে দুজন নিহত হন। পরে তাদেরকে দাউদকান্দির গৌরীপুর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমন দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিতে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর চরমোহাম্মদী গ্রামে গোমতী নদীর পাড়ে ড্রেজারে বালু তোলার কাজ করার সময় দিনমজুর লক্ষীপুর জেলার কমলনগর থানার দক্ষিণ জগবন্ধু গ্রামের আবদু কাদের মিয়ার ছেলে মো. বাবুল (২২) বজ্রপাতে মারা যান। অপরদিকে তিতাস উপজেলার মটুপী গ্রামের মো. ইসলাম মোল্লার ছেলে মো. রাসেল (২০) ফসলি জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান।
অপরদিকে একই দিন দুপুরে বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাতে হবিগঞ্জে শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার চানপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুছ ছাত্তারের ছেলে আজমান মিয়া (৪০) স্থানীয় শাহপুর বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে মাধবপুর উপজেলার রাজনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে মিম আক্তার (৮) দুপুরে বাড়ির বারান্দায় বসেছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটস্থলেই সে মারা যায়।
                                                                wWw.FB.Com/mNews24

পাকিস্তানের লাহোরে পার্কে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৭০



পাকিস্তানের লাহোর শহরে একটি পার্কে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০- এ দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৯ জন শিশু রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শহরের মেয়র জানিয়েছে, জনাকীর্ণ একটি পার্কে ওই হামলায় আহতের সংখ্যা প্রায় ১৯৩ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। পাকিস্তানি তালেবান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। লাহোর শহরের দক্ষিণ পশ্চিমে গুলশান-ই-ইকবাল নামে একটি বড় পার্কে শিশুদের দোলনার কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে। রোববার বিকেলে সেখানে অনেকগুলো পরিবার ভিড় জমিয়েছিল। তাদের অনেকেই ইস্টার সানডে পালন করছিল। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানাচ্ছেন, বিস্ফোরণের পর সেখানে পালাতে থাকা লোকের হুড়োহুড়িতে এক চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিস্ফোরণে আহতদের হাসপতালে নেয়া হয়েছে, এবং তাদের মধ্যে অনেকেই শিশু। পালাতে গিয়ে অনেক শিশুই তাদের পিতামাতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। লাহোরের খ্রিস্টান বাসিন্দাদেরকে ইচ্ছে করেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে বলে জামাত-উল-আহরার নামে পাকিস্তানী তালেবান গ্রুপ-এর একটি অংশ জানিয়েছে। খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের উপরে এই ধরনের হামলার নিন্দা জানিয়েছে ভ্যাটিকান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হামলার ঘটনার পর নিজের সমবেদনা জানিয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছিলেন শিশুরাই এই বোমা হামলায় সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে। খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী তাদের রোজা শেষ করে ইস্টার সানডে উদযাপন করছিলো। এই ধরনের উদযাপনে এখানে প্রচুর খ্রিস্টানের আনাগোণা হয়। পার্কের বাইরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
                                                                         wWw.FB.Com/mNews24