Translate

Saturday, March 26, 2016

যাদের হাতে আ’লীগের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত আজ তারাই সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে—— জাহাঙ্গীর আলম সরকা





স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত যাদের হতে মরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা নির্যাতিত হয়ে আসছিল আজ তারাই আ’লীগ সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। আমার হাতে গড়ে তুলা মুরাদনগর উপজেলা আ’লীগকে যারা ভেঙ্গে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে ছেরে দেওয়া হবেনা।
আসন্ন ইউনয়ন নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের উপজেলার কোম্পানীগঞ্জস্থ বাসভবনে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক জরুরী বর্ধিত সভায়   প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার এসব কথা বলে।
তিনি আরো বলেন, এক সময় মুরাদনগরে আ’লীগের চার, পাচঁ জন নেতা ছিল কিন্তু আজকের আ’লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মী রয়েছে। আর সেই নেতাকর্মীদের সর্মথন নিয়ে অনেকে বড় নেতা আবার কেহ এমপি হচ্ছেন। এরপরও মুরাদনগর উপজেলা আ’লীগের নেতাকর্মীরা সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, এ অবহেলা আমি সঞ্জ করবনা। যারা আজ বড় নেতা বা এমপি হয়েছেন তাদেরকে ইঙ্গত করে বলেন আমাকে রাস্তায় নামাবেন না, তখন কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা পালানোর রাস্তা পাবেনা। আমার আধা ঘন্টার নোটিশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহা সড়ক বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে বলে হুমকি দিয়ে সেই নেতাদের স্বরন করিয়ে দেন।
উপজেলা  আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহাম্মদ হোসেন আউয়ালের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম মসুকের উপস্থাপনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইউম খসরু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানোয়ারা বেগম লুনা, উত্তর জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হানিফ সরকার, উপজেলা আ’লীগের সহ:সভাপতি হেলাল উদ্দিন মজনু(সাবেক ভিপি), যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈয়দ এস টি আহাম্মদ ফয়সল প্রমূখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাকির হোসেন (সাবেক ভিপি), উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের আহব্বায়ক আব্দুর রহিম পারভেজ, সদস্য সচিব সেলিম সরকার, ইউ পি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম, আ: লতিফ সরকার, মো: জাকির হোসেন প্রমুখ।
সভায় উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে অওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রর্থী, প্রতিটি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি, সেক্রেটারী, উপজেলা আ’লীগে নেতা-কর্মীসহ সকল অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহন করেন।
                                                                                            wWw.FB.Com/mNews24      

মুরাদনগরে বীরঙ্গনা পেল মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সম্মাননা


৭১এ আমাদের যে বীর-বীরঙ্গনারা পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামটি লিখে দিয়ে আমাদের দিয়েছেন আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদার নিশ্চয়তা। তারাই আমাদের স্বাধীনতার বীর সৈনিক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীর সময় অনেক মা-বোন পাকিস্থানী হায়না ও এদেশের রাজাকার আলবদরদের  জুলুম নির্যাতনে তাদের সমভ্রমের বিনিময়ে বাংলদেশ স্বাধীন করেছিলেন। এর বিনিময়ে বর্তমান সরকার তাদের দিয়েছে সম্মান, দিয়েছে মাথা উচুকরে বাচার মর্যাদা, তৈরী করে দিয়েছে বসতভিটা।
তারই অংশ হিসেবে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের নগরপাড় গ্রামে বীরঙ্গনা বেলা রানী দাষকে সরকার দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও একটি ১তলা পাকা দালান।
বুধবার দুপুর মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহাম্মদ মনসুর উদ্দিন নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন এবং বীরঙ্গনা বেলা রানী দাষকে ফুল দিয়ে বরন করে নতুন গৃহে পদার্পন করান।
এসময় ইউএনও জানান, মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় বেলা রানী দাষকে মহিলা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। এখন তিনি প্রতি মাসে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাবেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন , সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মোঃ শাহজাহান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন আল-রশিদ, সহকারী উপ-প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান, ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি ওমর ফারুক দেলোয়ার প্রমুখ।
আলোচিত বীরঙ্গনা বেলা রানী দাস মুরাদনগর উপজেলার নগরপাড় গ্রামের মনিন্দ্র  চন্দ্র দাসের মেয়ে নরেন্দ্র চন্দ্র দে এর স্ত্রী।
নতুন গৃহ পেয়ে কান্না বিজরিত কন্ঠে বেলা রানীদাষ বলেন স্বধীনতার  ৪৫বছর পরে আমি যে সম্মান পেয়েছি রাষ্ট্র আমাকে যে মর্যাদা দিয়েছে আমি খুব খুশি। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা প্রশাসক হাসানোজ্জামান কল্লোল এবং মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিনের কাছে চির কৃতজ্ঞ।
                                                                                                wWw.FB.Com/mNews24

মুরাদনগরে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩জন আটক


কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে পৃথক অভিযানে ৩ হাজার পিচ ইয়াবা সহ ৩জন এবং গাঁজা সহ ১জন মোট ৪জনকে আটক করেছে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজার জেলার টেকনাথ থানার জাহালিয়া পাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং একই থানার পূর্ব নয়া বাজার গ্রামের হাজী মুকবুলের ছেলে ও পশ্চিম নয়া বাজার গ্রামের মাহমুদ হোসেনের ছেলে ) ও কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার জগতপুর মাঝিপাড়া গ্রামের মৃত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেল(৩০) ।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে পৃথক পৃথক অভিযানে থানার এএসআই মোঃ কবির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাঙ্গরা থানাধীন হায়দারাবাদ, মকলিসপুর গ্যাসফিল্ডের সামনে ও চাপিতলা নামক স্থান থেকে তল্লাশী কালে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১হাজার পিস করে মোট ৩ হাজার পিচ ইয়াবাসহ দিলদার মিয়া(২৫) , মোঃ ইউসুফ(২৫) ও আবুল কাশেম(২২) কে আটক করে।
এছাড়া এএসআই সুজনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কড়ইবাড়ি থেকে আধা কেজি গাঁজাসহ মোঃ সোহেল(৩০) কে আটক করে।
এব্যাপারে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, নতুন থানা হওয়ার পর এটি একটি বড় অভিযান। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ওই ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

                                                                                                         wWw.FB.Com/mNews24