স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত যাদের হতে
মরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা নির্যাতিত হয়ে আসছিল আজ তারাই
আ’লীগ সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। আমার হাতে গড়ে তুলা মুরাদনগর
উপজেলা আ’লীগকে যারা ভেঙ্গে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে ছেরে দেওয়া হবেনা।
আসন্ন ইউনয়ন নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার
সকালে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের
উপজেলার কোম্পানীগঞ্জস্থ বাসভবনে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক জরুরী বর্ধিত
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের
সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার এসব কথা বলে।
তিনি আরো বলেন, এক সময় মুরাদনগরে আ’লীগের
চার, পাচঁ জন নেতা ছিল কিন্তু আজকের আ’লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মী রয়েছে। আর
সেই নেতাকর্মীদের সর্মথন নিয়ে অনেকে বড় নেতা আবার কেহ এমপি হচ্ছেন। এরপরও
মুরাদনগর উপজেলা আ’লীগের নেতাকর্মীরা সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত
হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, এ অবহেলা আমি সঞ্জ করবনা।
যারা আজ বড় নেতা বা এমপি হয়েছেন তাদেরকে ইঙ্গত করে বলেন আমাকে রাস্তায়
নামাবেন না, তখন কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা পালানোর রাস্তা পাবেনা। আমার আধা
ঘন্টার নোটিশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহা সড়ক বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে বলে
হুমকি দিয়ে সেই নেতাদের স্বরন করিয়ে দেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি
মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহাম্মদ হোসেন আউয়ালের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক
মাসুকুল ইসলাম মসুকের উপস্থাপনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের
চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইউম খসরু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানোয়ারা বেগম
লুনা, উত্তর জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হানিফ সরকার,
উপজেলা আ’লীগের সহ:সভাপতি হেলাল উদ্দিন মজনু(সাবেক ভিপি), যুগ্ম সাধারন
সম্পাদক সৈয়দ এস টি আহাম্মদ ফয়সল প্রমূখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক
সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাকির হোসেন (সাবেক ভিপি), উপজেলা
সেচ্ছাসেবকলীগের আহব্বায়ক আব্দুর রহিম পারভেজ, সদস্য সচিব সেলিম সরকার, ইউ
পি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম, আ: লতিফ সরকার, মো: জাকির হোসেন
প্রমুখ।
সভায় উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে
অওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রর্থী, প্রতিটি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি,
সেক্রেটারী, উপজেলা আ’লীগে নেতা-কর্মীসহ সকল অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা
অংশগ্রহন করেন।
wWw.FB.Com/mNews24