Translate

Saturday, March 26, 2016

মুরাদনগরে বীরঙ্গনা পেল মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সম্মাননা


৭১এ আমাদের যে বীর-বীরঙ্গনারা পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামটি লিখে দিয়ে আমাদের দিয়েছেন আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদার নিশ্চয়তা। তারাই আমাদের স্বাধীনতার বীর সৈনিক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীর সময় অনেক মা-বোন পাকিস্থানী হায়না ও এদেশের রাজাকার আলবদরদের  জুলুম নির্যাতনে তাদের সমভ্রমের বিনিময়ে বাংলদেশ স্বাধীন করেছিলেন। এর বিনিময়ে বর্তমান সরকার তাদের দিয়েছে সম্মান, দিয়েছে মাথা উচুকরে বাচার মর্যাদা, তৈরী করে দিয়েছে বসতভিটা।
তারই অংশ হিসেবে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের নগরপাড় গ্রামে বীরঙ্গনা বেলা রানী দাষকে সরকার দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও একটি ১তলা পাকা দালান।
বুধবার দুপুর মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহাম্মদ মনসুর উদ্দিন নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন এবং বীরঙ্গনা বেলা রানী দাষকে ফুল দিয়ে বরন করে নতুন গৃহে পদার্পন করান।
এসময় ইউএনও জানান, মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় বেলা রানী দাষকে মহিলা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। এখন তিনি প্রতি মাসে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাবেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন , সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মোঃ শাহজাহান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন আল-রশিদ, সহকারী উপ-প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান, ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি ওমর ফারুক দেলোয়ার প্রমুখ।
আলোচিত বীরঙ্গনা বেলা রানী দাস মুরাদনগর উপজেলার নগরপাড় গ্রামের মনিন্দ্র  চন্দ্র দাসের মেয়ে নরেন্দ্র চন্দ্র দে এর স্ত্রী।
নতুন গৃহ পেয়ে কান্না বিজরিত কন্ঠে বেলা রানীদাষ বলেন স্বধীনতার  ৪৫বছর পরে আমি যে সম্মান পেয়েছি রাষ্ট্র আমাকে যে মর্যাদা দিয়েছে আমি খুব খুশি। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা প্রশাসক হাসানোজ্জামান কল্লোল এবং মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিনের কাছে চির কৃতজ্ঞ।
                                                                                                wWw.FB.Com/mNews24

No comments:

Post a Comment