Translate

Friday, March 25, 2016

মগবাজার ফ্লাইওভার চালু হচ্ছে ৩০ মার্চ


কথা ছিল ২৬ মার্চ উদ্বোধন হবে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একটি অংশ। সাতরাস্তা থেকে হলিফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত উড়াল সড়কের কাজও শেষ হয়েছে এরই মধ্যে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সময় না পাওয়ায় চারদিন পিছিয়েছে উদ্বোধন। আগামী বুধবার এই সড়কটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে উপরের সড়কের কাজ। স্থাপন করা হয়েছে সড়ক বাতি। সব মিলিয়ে গাড়ি ওঠা-নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত সড়কটি।
তবে উড়াল সড়কটির নিচের রাস্তা এখনও পুরোপুরি মেরামত হয়নি। উড়াল সড়কটি নির্মাণের সময় সড়কে পড়া কংক্রিটের স্তুপ এখনও রয়ে গেছে কোনও কোনও এলাকায়। তৈরি হওয়া কিংবা খানা-খন্দক মেরামত কাজও শেষ হয়নি পুরোপুরি। যদিও নির্মাণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যথাসময়ে নিচের রাস্তাটিও মেরামত করে দেবেন তারা।
প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম  বলেন, ‘আগামী ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নিজেই ফ্লাইওভারটি উদ্ধোধন করবেন’।
মগবাজার মৌচাক উড়ালসড়কের কাজ চলছে তিনটি অংশে। আগামী জুনে বাংলামোটর থেকে মৌচাক অংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আর বাকি অংশ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ডিসেম্বরে।
মগবাজার-মৌচাক ও মৌচাক-হাজিপাড়া-কাকরাইল পর্যন্ত বিস্তৃত উড়াল সড়কটির কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালের নভেম্বরে। তবে নানা জটিলতায় সময় মতো কাজ শেষ করা যায়নি। পরে দুই দফা সময় বাড়ায় সরকার।
ভারতের সিমপ্রেকস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পাানি-এমসিসিসি ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন এই সড়কটি নির্মাণে কাজ করছে।
চার লেনের এই উড়ালসড়কে উঠানামার জন্য তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা (হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল) বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ও শান্তিনগর মোড়ে লুপ বা র‌্যাম্প রাখা হয়েছে।
এই উড়ালসড়কটি চালু হলে সাতরাস্তাা, মগবাজার, মৌচাক, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর এলাকার যানজট নিরসনের আশা করছে সরকার।
আগামী বুধবার সাতরাস্তা থেকে হলিফ্যামিলি পর্যন্ত ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন ছাড়াও সেদিন হাতিরঝিলের গুলশান অংশে পুলিশ প্লাজার পাশ দিয়ে নতুন একটি রাস্তারও উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এর ফলে গুলশান-বাড্ডা থেকে পুলিশ প্লাজার পাশ দিয়ে হাতিরঝিলের সঙ্গে সংযুক্ত হবেন সেখানকার বাসিন্দারা।

বিশ্বের শীর্ষ ব্যক্তিদের তালিকায় দশম স্থানে শেখ হাসিনা



ফরচুনের তালিকায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশ্বের ৫০ শীর্ষ ব্যক্তির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশম স্থানে রয়েছেন। তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছেন মার্কিন উদ্যোক্তা জেফ বিজোস।
যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকীটির ওয়েবসাইটে তালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করে বলা হয়- ব্যবসা, সরকার ব্যবস্থা, বিশ্বপ্রীতি ও কলায় এবং সারাবিশ্বে এই মানুষগুলো পরিবর্তন আনছেন একই সঙ্গে অন্যদেরও তা করতে অনুপ্রেরণা দিয়ে চলেছেন।
শীর্ষ ৫০ জনের মধ্যে তালিকায় জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যঞ্জেলা মার্কেল রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। এরপর তিন নম্বরে রয়েছেন মিয়ানমারে গণতন্ত্রের প্রতীক অং সান সু চি। ফরচুনের তালিকায় এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছেন- পোপ ফ্রান্সিস, টিম কুক, জন লিজেন্ড, ক্রিস্টেয়ানা ফিগুয়েরার্স, পাউল রায়ান, রুথ বাদের গিন্সবার্গ প্রমুখ।

৩০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন না হলে সিম বন্ধ


৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন না হলে পর্যায়ক্রমে সিম বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে এরিকসন বাংলাদেশের কার্যালয় ও ‘ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) পোর্টাল’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দেন।

তারানা হালিম বলেন, ‘প্রাথমিক পরিকল্পনায় আমরা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন কাজ শেষ করবো। তারপর যেসব সিমের রেজিস্ট্রি করা হয়নি ক্রমান্বয়ে সেখানে একটি সংকেত পাঠাবো। এছাড়া কয়েক ঘণ্টার জন্য সিম বন্ধ রাখা হবে। এভাবে ক্রমান্বয়ে এক পর্যায়ে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ‘এভাবে গ্রাহককে ইঙ্গিত দিলে বা কয়েক ঘণ্টার জন্য সিম বন্ধ রাখলে গ্রাহক গিয়েই এই সিমটি নিবন্ধন করে নেবেন।’

রাজপথ থেকে কলকারখানা সবকিছু ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় থাকবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া। সেজন্য দেশের সমস্ত ফ্যাক্টরি, বিজনেস, কমিউনিটি এবং প্রত্যেকটি স্থান ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হবে।’

টেলিটককে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে টেলিটকের গ্রাহক ও সিম বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ায় সারাদেশে যাতে টেলিটকের নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ইওহান ফ্রিজেল, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ এবং এরিকসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।