Translate

Thursday, March 24, 2016

ছাত্রী ধর্ষণ: ফুঁসে উঠেছে হিন্দু সম্প্রদায়


পাবনা: পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের হিন্দু ছাত্রী(২১) ধর্ষণের ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও পুলিশ ঘটনায় জড়িত কাউকে ধরতে পারেনি। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
মঙ্গলবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতার খোঁজ-খবর নিতে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পাবনা জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতা রোটারিয়ান প্রভাষ চন্দ্র ভদ্র, বাদল চন্দ্র ঘোষ, সৌমেন সাহা ভানু, কোমল চন্দ্র দাশ, সঞ্জয় বসাক, দিপঙ্কর সরকার জিতু, সুনীল সরকার, অপু সাহা।
এ ছাড়াও সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. অধ্যাপক হুমায়ুন কবির মজুমদার ছাত্রীকে দেখতে আসেন। জেলা প্রশাসক ধর্ষিতার সার্বিক চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
অপরদিকে, সাঁথিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুন্ডরিয়া গ্রামের মজিবর ব্যাপারীর ছেলে চাঁদ আলীকে (২৭) সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তবে ধর্ষিতার পরিবার যাদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে তাদের কেউই ধরা পড়েনি।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে,আসামিরা ক্ষমতাসীন হওয়ায় পুলিশ প্রশাসন অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছে।
পুজা উদযাপন পরিষদ নেতারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
নেতারা হুশিয়ারি দিয়ে জানান, আগামীকাল বুধবার সকালে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে শহরের প্রধান সড়কে বিশাল মানববন্ধন গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ রাত আটটার দিকে সাঁথিয়া উপজেলার পুন্ডুরিয়ার বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে একদল দূর্বৃত্ত জোর করে অনার্সের ওই হিন্দু ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী একটি খালের মধ্যে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।
=>2.
পাবনা: গণধর্ষণের শিকার হয়েছে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের এক হিন্দু ছাত্রী (২১)। একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক খালের মধ্যে পাশবিক নির্যাতন চালায়।
গত ১৩ মার্চ রাতে ঘটনাটি ঘটে জেলার সাঁথিয়া উপজেলার পুন্ডুড়িয়া গ্রামে। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর সাঁথিয়া থানায় দায়ের করে ধর্ষিতার পরিবার।
ধর্ষিতা ওই ছাত্রী সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশুনা করেন। ধর্ষণকারীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ছাত্রীর পরিবার মামলা করার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতা আর আতঙ্কে দিনকাটাচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রমতে, ১৩ মার্চ রাত আটটার দিকে বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে একদল দূর্বৃত্ত জোর করে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির পাশে একটি খালের মধ্যে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এদিকে খালের পাশেই জনৈক বেরেন্দ্র মোহনের বাড়িতে হরিবাসরে আসা লোকজন যাওয়ার সময়ে ধর্ষিতার চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষকের দল ছাত্রীকে ফেলে রেখে সটকে পড়ে।
খবর পেয়ে আত্মীযস্বজন ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। তবে এখনও আসামিরা ধরা পড়েনি। পুলিশ ধর্ষকদের ধরতে অভিযানে রয়েছে। এর আগে ধর্ষিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।

No comments:

Post a Comment