Translate

Saturday, April 2, 2016

টিএসসিতে লাঠির মিছিল,,,,,

টিএসসিতে নারীর প্রতি সহিংসতা
রোধে বিকেলে লাঠি মিছিল

প্রকাশঃ এপ্রিল ২, ২০১৬
mnews24

টিএসসিতে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে
বিকেলে লাঠি মিছিল করবে প্রীতিলতা
ব্রিগেড।সোহাগী জাহান তনুসহ
দেশব্যাপী চলমান নারী ও শিশুর প্রতি
সহিংসতা, যৌন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি’র রাজু ভাস্কর্যে এ
মিছিল হবে।
আজ ২ এপ্রিল শনিবার এ মিছিল হবে।
গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়,
‘লড়াই সংগ্রাম, সমাজপ্রগতি, নারী অধিকার
রক্ষার লড়াইয়ে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান
প্রীতিলতা ব্রিগেড।এসবের প্রতিবাদেই
লাঠি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। লাঠি
মিছিলে সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বানও করা
হয়েছে।
আরও বলা হয়, গত বছর টিএসসিতে
বর্ষবরণে যৌন নিপীড়নের ঘটনায়
দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের
দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির মাধ্যমে ৬ লাখ
গণস্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা
দেয়া হয়। তারপরও এখন পর্যন্ত
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্র এবং প্রশাসন
বর্ষবরণে যৌন সন্ত্রাস, সোহাগী জাহান
তনুসহ সকল যৌন নিপীড়নের ঘটনায় অসহ্য
নির্লিপ্ততা প্রকাশ করছে।

Friday, April 1, 2016

যে জঘণ্য কাজটি করলে আপনার ঘরে হতে পারে হিজড়া সন্তান ..

অনেক সময় দেখা যায় হিজড়া সন্তানের জন্ম হয়েছে। এর কি কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে? অর্থাৎ কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা? চলুন জেনে নিই,
হিজড়া জন্ম হওয়ার কারণ :
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ হিজড়ারা জীনদের সন্তান। কোন এক বাক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কেমন করে হতে পারে। জবাবে তিনি বলেছিলেন “আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোন মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা ঐ মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলাম এ বলা হয় “খুন্নাস”)।
প্রমানসুত্রঃ সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম, হাকিম তিরমিজি।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায়ঃ দেখা যায় XX প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন থেকে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY অথবা XYY। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।

অবশেষে বিবিসি বাংলার প্রবাহকে সত্য বলতে পিছপা হলেন না তনুর বাবা !!!

কুমিল্লার কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশে বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছে।
বিবিসি বাংলার প্রবাহ টিভি অনুষ্ঠানের জন্যে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, “মেয়েটা ক্যান্টনমেন্টের ভেতর মারা গেছে, এটা বলতে পারবো না স্যার, তাইলে গুলি কইরা মাইরা ফালান। যদি না বলতে পারি তাইলে গুলি কইরা মাইরা দেন আমারে”।
গত সপ্তাহে সেনানিবাস এলাকায় তনুর মৃতদেহ উদ্ধারের পর দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমে সংবাদ না এলেও অনলাইনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
তনু হত্যাকাণ্ডে শুরুর দিকে ফেসবুকে যারা প্রতিবাদ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম নাট্য ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
তিনি বলেন, “কবর দিয়ে আবার সেই লাশ আপনারা তুলে ফেলছেন তাহলে আপনাদের অনেক কাজ না করেই আপনারা তাড়াহুড়া করেছেন। কেন? জনগণের মনে তো এই প্রশ্নগুলি আসবেই”
তিনি বলেন ধীরগতি আর সিদ্ধান্তহীনতা সরকার এবং সেনাবাহিনী দুই তরফ থেকেই হয়েছে।
তনুর ব্যাপারে সেনানিবাস থেকে নাসির উদ্দীন ইউসুফকে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে এমন শিরোনামেও খবর প্রকাশ করে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা।

যদিও এটি সত্য নয় বলে জানান মিস্টার ইউসুফ।
তিনি বলেন, “অনেক যায়গায় ছড়িয়েছে যে আমার উপরে চাপ আছে। আমি কোনো চাপে নেই। আমি খুব পরিষ্কার, আমি কোনো চাপে নেই। সেনসিটিভ যায়গাটা হচ্ছে আমাদের বুঝতে হবে এটা ক্যান্টনমেন্টের এরিয়ার মধ্যে ঘটেছে।”
এদিকে তনু হত্যার পরদিন থেকেই বিক্ষোভ করছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তাদের সঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গণজাগরণ মঞ্চ, বাম ছাত্র সংগঠনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে যাচ্ছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তনু হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের লাগাতার আন্দোলন চলবে।
ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত একজন ছাত্রী বলেন, “এই জন্যই আমাদের এ আন্দোলন যে, একটা প্রটেক্ট এরিয়ার মধ্যে একটা মেয়ে কিভাবে ধর্ষিত হয় তাকে তারপরে খুন করা হয়?”
অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, “লাশ কবর থেকে উদঘাটন করে আবার ওর ময়না তদন্ত হবে। কেন? প্রথম তাইলে যে ময়না তদন্ত হইছে সেটা কি হইছে?
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে অনুসিদ্ধান্তে এসেছেন তনুকে হত্যা করা হয়েছে এবং সে ধর্ষিতও হতে পারে।
তিনি বলেন, “সেনা কর্তৃপক্ষ যে তথ্যগুলো আমাদেরকে দিবে তারপর নির্ভর করেই আমাদেরকে কিন্তু কাজ করতে হবে। কারণ আমার কিন্তু ঐখানে গিয়ে ইন্ডিসক্রিমিনেটলি… আমার ওই একসেসটা নাই যে আমি জিজ্ঞাসা করব । সেনানিবাসের মধ্যে কিন্তু বেশকিছু বিধিবদ্ধ বিষয় প্রতিপালন করেই কিন্তু কাজ করতে হয়। এটাও তার ব্যতিক্রম নয়”।
কোনোকিছু আড়াল করারও কোনো ইচ্ছা পুলিশের নেই বলে দাবি করে কুমিল্লার পুলিশ সুপার।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী।
ঘটনার নবম দিনে তনুর বাবার সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে ইয়ার হোসেন জানান, অনুমতি ছাড়া তাদেরকে সেনানিবাস থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
পরে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সিইও’র সঙ্গে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিসে নিয়ে আসা হয়।
সেখানে তনুর বাবা কথা বলেন বিবিসির সঙ্গে।
“আমার মেয়েরেতো আমি তুলছি, কিভাবে তুলছি আমি দেখছি। তার কোনো গলায় কাটা ছিল না। মুখটা থেতলানো আছিলো, কানডি দিয়া রক্ত আইছে, মাথার এই জাগাডা (পেছনে) উঁচা আছিলো, উঁচা উঁচা একটু ফুলা এই…”
তনুকে কোথায় পাওয়া পাওয়া গেছে এ নিয়ে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বিবৃতি দিয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন সীমানা প্রাচীর নেই এরকম এলাকার বিবরণ দেয়। তবে ইয়ার হোসেন একটি বিষয় জোর দিয়ে বলে আসছেন যে মেয়েকে তিনি সেনানিবাস এলাকা থেকেই উদ্ধার করেছেন।
“এহনো কই- তহনো কই, আমিতো কারো নাম বলতেছি না। হ্যাঁ মেয়েডা এখানে মারা গেছে, এডাতো বলতে হবে আমার। যে- মেয়েডা ক্যান্টনমেন্টের ভেতর মারা গেছে, এটা বলতে পারবো না স্যার, তাইলে গুলি কইরা মাইরা ফালান। যদি না বলতে পারি তাইলে গুলি কইরা মাইরা দেন আমারে”।
তনু হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে কুমিল্লা সেনা কর্তৃপক্ষের সাক্ষাৎকার চেয়ে যোগাযোগ করা হলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর থেকে সাক্ষাৎকার দেয়া আপাতত সম্ভব নয় বলে বিবিসিকে জানানো হয়।