Translate
Saturday, March 26, 2016
শরীরে তিলের অবস্থান দেখে ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
শরীরের কোনও বিশেষ অংশে তিল থাকলে আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় অনেকটাই৷ তবে তিল যে শুধু আপনার শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তা নয়৷ তিলের অবস্থান থেকেও একজন মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা যায়৷ অনেক ভাবতে পারেন এটা নিতান্তই একটি কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু নয়৷ কিন্তু প্রাচীন সমুদ্র শাস্ত্রে তিল দেখে ভাগ্য নির্ধারণের পদ্ধতি বর্ণনা করা রয়েছে৷ দীর্ঘ গবেষণার পরেই ভারতের পণ্ডিতেরা এই তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন৷
১) পুরুষের শরীরের ডান দিকে ও পুরুষের শরীরের বাঁ দিকে তিল থাকলে তা শুভ হিসেবে মনে করা হয়৷ পণ্ডিতেরা জানিয়েছেন শরীরে ১২টির কম তিল থাকা শুভ৷
২) যাদের ভ্রুতে তিল রয়েছে তাদের প্রায়ই ভ্রমণের যোগ রয়েছে৷ ডান ভ্রুতে তিল থাকলে কোনও ব্যক্তির দাম্পত্য জীবন সুখের হয়৷ বাঁচ ভ্রুর তিল দুখী দাম্পত্যের লক্ষণ৷
৩) মাথার মাঝখানে তিল নির্মল ভালসাবার প্রতীক৷ মাথার ডান দিকে তিল থাকলে তা কোনও বিষয়ে নৈপুণ্যের প্রতীক৷ আবার যাদের মাথার বাঁ দিকে তিল রয়েছে তারা অর্থের অপচয় করেন৷ মাথার ডান দিকে তিল ধন ও বুদ্ধির চিহ্ন৷ বাঁ দিকের তিল নারাশাপূর্ণ জীবনের সূচক৷
৪) ডান চোখে চিল থাকলে ব্যক্তি উচ্চবিচার ধারা পোষণ করেন৷ বাঁ চোখের তিল যাদের রয়েছে তাদের ভাবনা চিন্তা তেমন উন্নত নয়৷ যাদের চোখের মণিতে তিল থাকে তারা সাধারণত ভাবুক প্রকৃতির হন৷
৫) চোখের পাতায় যাদের তিল রয়েছে তারা সাধারণত সংবেদনশীল হন৷ তবে যাদের ডানদিনেক চোখের পাতায় তিল রয়েছে তারা অন্যদের তুলনায় অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে থাকেন৷
৬) যাদের কানে তিল রয়েছে তাদের আয়ু অনেক বেশি থাকে৷
৭) নারী বা পুরুষের মুখমণ্ডলের আশেপাশে তিল তাদের সুখী ও ভদ্র হওয়ার ইঙ্গিত দেয়৷ মুখে তিল থাকলে ব্যক্তি ভাগ্যে ধনী হন ও তার জীবনসঙ্গী খুব সুখী হন৷
৮) নাকে তিল থাকলে ব্যক্তি প্রতিভাসম্পন্ন ও সুখী হন৷ যে নারীর নাকে তিল রয়েছে তারা সৌভাগ্যবতী হন৷
৯) যাদের ঠোঁটে তিল রয়েছে তাদের হৃদয়ে ভালবাসা ভরপুর৷ তবে ঠোঁটের নীচে তিল থাকলে সে ব্যক্তির জীবনে দারিদ্র বিরাজ করে৷
১০)গালে লাল তিল থাকা শুভ৷ তবে গালে কোলে তিল অর্থহীনতার প্রতীক৷ কিন্তু ডান গালে তিল থাকলে ব্যক্তি ধনী হন৷
১১)যে নারীর থুতনিতে তিল রয়েছে তারা সহজে লোকের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারেননা৷ তারা সাধারণত একটু রুক্ষ স্বভাবের হয়ে থাকেন৷
১২)ডান কাঁধে তিল থাকলে সেই ব্যক্তি দৃঢ়চেতা হন৷ যাদের বাঁ কাঁধে তিল রয়েছে তারা অল্পেতেই রেগে যান৷
১৩)যাদের হাতে তিল রয়েছে তারা চালাক চতুর হন৷ ডান হাতে তিল থাকলে তারা শক্তিশালী হন৷ আবার ডান হাতের পিছনে তিল থাকলে তারা ধনী হয়ে থাকেন৷ বাঁ হাতে তিল থাকলে সেই ব্যক্তি অনেক বেশি টাকা খরচ করেন৷ আবার বাঁ হাতের পিছনের দিকে তিল থাকলে সেই ব্যক্তি কৃপণ প্রকৃতির হয়ে থাকেন৷ যে ব্যক্তির ডান হাতে তিল থাকে তারা প্রতিষ্ঠিত ও বুদ্ধিমান হন৷ বাঁ হাতে তিল থাকলে তারা ঝগড়াটে স্বভাবের হন৷ যাদের তর্জনীতে তিল রয়েছে তারা বিদ্বান, ধনী ও গুণী হয়ে থাকেন৷ তারা বেশিরভাগ সময়েই শত্রু দ্বারা সমস্যায় জর্জরিত থাকেন৷ বৃদ্ধাঙ্গুলে যাদের তিল থাকে তারা কর্মঠ, সদ্ব্যলহার ও ন্যায়প্রিয় হন৷ মধ্যমায় তিল থাকলে ব্যক্তি সুখী হন৷ তাদের জীবন শান্তিতে কাটে৷ কনিষ্ঠ আঙুলে তিন থাকলে সেই ব্যক্তি জ্ঞানী, যশস্বী, ধনী ও অপরাজেয় হন৷
১৪)যে ব্যক্তির কোমরে তিল রয়েছে তাদের জীবনে সমস্যার আনাগোনা থাকে৷
১৫)নারীদের ডান দিকে বুকে তিল থাকা শুভ৷ এমন পুরুষও ভাগ্যশালী হন৷ বাঁ দিকের বুকে তিল থাকলে নারী অসহযোগি হন৷ বুকের মাঝখানের তিল সিখী জীবনের ইঙ্গিত দেয়৷
১৬)যে জাতকের পায়ে তিল রয়েছে তাদের জীবনে প্রচুর ভ্রমমের যোগ রয়েছে৷ ডান হাঁটুতে তিল থাকলে গৃহস্থজীবন সুখের হয়৷ বাঁ হাঁটুর তিল সংসারে অশান্তি ডেকে আনে৷
১৭)যে ব্যক্তির পেটে তিল রয়েছে তারা খুব পেটুক প্রকৃতির হয়ে থাকেন৷ মিষ্টি এই ধরণের মানুষের অত্যন্ত প্রিয়৷ তবে এরা অন্য কাউকে নিজের টাকায় খাওয়াতে একেবারেই পছন্দ করেননা৷
wWw.FB.Com/mNews24
যে দেশে দুটি বিয়ে না করলে শাস্তি যাবজ্জীবন
প্রত্যেক সক্ষম পুরুষকে অন্তত দুটো বিয়ে করতেই হবে। নির্দেশ অমান্য করলেই মিলবে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। এমনকী কোনো স্ত্রী যদি তার স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধা দেন, শাস্তি হবে তারও।
এমনই নির্দেশ জারি করেছে ইরিত্রিয়া সরকার। গণমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সরকারের আদেশে লেখা আছে, ‘বহুগামিতা নিয়ে ঈশ্বরের আইন মেনে, এবং দেশে পুরুষ কমে যাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ইরিত্রিয়া সরকারের ধর্ম সংক্রান্ত দপ্তর এই সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে-
প্রথমত, প্রত্যেক পুরুষ অন্তত দু’জন মহিলাকে বিয়ে করবেন এবং যে পুরুষ তা করতে অস্বীকার করবেন তাকে কঠোর পরিশ্রমসহ যাবজ্জীবন কারাবাস করতে হবে।
…যে মহিলা তার স্বামীকে আবার বিয়ে করতে বাধা দেবেন তাকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।’
আফ্রিকার ছোট্ট দেশ ইরিত্রিয়ার জনসংখ্যা চৌষট্টি লক্ষেরও কিছু কম। এর এক দিকে সুদান আর ইথিওপিয়া, এক দিকে জিবুতি, এক দিকে লোহিত সাগর।
ইথিওপিয়া থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন ইরিত্রিয়ার জন্ম হয় ১৯৯৩ সালে। এর পর ১৯৯৮ থেকে ২০০০ পর্যন্ত দু’বছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে ইথিওপিয়ার সঙ্গে। যুদ্ধে মারা পড়েছিলেন বহু পুরুষ। সেই থেকেই দেশে নারীর অনুপাতে বেশ কমে যায় পুরুষের সংখ্যা। এই নারী-পুরুষ অনুপাতের যুক্তি দেখিয়েই নাকি সম্প্রতি জারি হয়েছে এই অদ্ভুত নির্দেশ।
ইরিত্রিয়ার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক খ্রিস্টান আর বাকি অর্ধেক মুসলিম ধর্মাবলম্বী।
wWw.FB.Com/mNews24
ব্রণের যন্ত্রণা: ঘরেই প্রতিকার
ত্বকে ব্রণ ও বণের দাগের ফলে আমাদের শুধু সৌন্দর্যহানীই ঘটে না। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও কমে যায়।
আসলে ব্রণ-আমাদের প্রায় সবার জন্যই একটি কমন সমস্যা। বিশেষ করে টিনএজাররা এই সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন। নিয়মিত সঠিক পদ্ধতিতে ত্বক পরিষ্কার না করা, চকলেট, ফাস্টফুডসহ বাইরের খাবারের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতা ও হরমোন পরিবর্তনের ফলে এই বয়সে বেশি ব্রণ হয়ে থাকে। তবে টিনএজারদের সঙ্গে সঙ্গে বড়দেরও এই সমস্যা দেখা যায়।
দাগহীন কোমল ত্বকের জন্য ব্রণের সমাধান আমরা সবাই চাই। কিন্ত সবার আগে জানতে হবে ব্রণের কারণ আর সেই সাথে আমাদের ত্বকের ধরণ।
খুব সহজে ঘরে বসেই কীভাবে আমরা ব্রণ দূর করতে পারি, সে পরামর্শই দিলেন ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা: সন্দীপ ভাসিন। আসুন জেনে নেই:
ত্বক পরীক্ষা: ত্বকে ব্রণ হলে প্রথমে ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে থেকে পরীক্ষা করে ত্বকে ব্রণের কারণ জানতে হবে। আমরা যদি ত্বকের ধরণ এবং ব্রণের কারণগুলো না জেনে নিজেরা ঘরে যা সামনে পাই ত্বকে লাগাতে থাকি, তবে হয়তো ব্রণ দূর হওয়ার পরিবর্তে আমাদের ত্বক আরও ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে।
খাদ্য: ব্রণ দূর করার জন্য আয়রন ও ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাদ্য নিয়মিত আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। সবুজ শাকসবজি ও দুগ্বজাত দ্রব্য, মাছ, কলিজা, গাজর, ব্রকলি খেতে হবে ।
ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত কিছু শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এছাড়াও মিষ্টি ও শর্করা জাতীয় উচ্চক্যালরি যুক্ত খাবার কম খেতে হবে।
প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক: চা গাছের নির্যাস থেকে এক ধরনের তেল তৈরি হয়। এই তেল ব্রণের জন্য এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন রাতে ত্বক পরিষ্কার করে ব্রণের ওপর লাগিয়ে নিন।
হারবাল: নিম এবং চিরতা ব্রণ ভালো করতে সাহায্য করে। ব্রণহীন ত্বক পেতে নিয়মিত নিম পাতা এবং চিরতার পেস্ট তৈরি করে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।
বেকিং সোডা: আমাদের সবার রান্নাঘরেই বেকিং সোডা থাকে। তাই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এটি। জানেন কি? বেকিং সোডা ব্রণ সারাতে টনিকের কাজ করে। একটি বাটিতে ১ চামচ বেকিং সোডা সাথে একটু পানি মিশিয়ে পেষ্ট করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। ব্রণ কমে যাবে ।
যবের গুঁড়া: যবের গুড়া ১ চামচ পানির সাথে মিশিয়ে পেষ্ট করে সারা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।পারিষ্কার তোয়াল দিয়ে মুছে নিন।যবের গুঁড়া ব্রণ দূর করে ও মুখ পরিষ্কার হয়।
ডিমের সাদা অংশ: ডিমের সাদা অংশ পেষ্ট করে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। ত্বকে যদি ডিমে এলার্জির সমস্যা হয়, তাহলে এটা ব্যবহার করা যাবে না।
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং ত্বক কোমল ও মসৃণ হয়। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর করে।
বরফের জাদু: ব্রণের ওপর বরফ টুকরো ঘষুন। এর রয়েছে দারুণ ক্ষমতা। এটি ব্রণের আকার কমিয়ে দেয় কয়েক মুহূর্তেই। আর ব্রণ দূরও হয় দ্রুত।
টক দই: টক দই ব্রণের জন্য খুব ভালো। টক দই সারা মুখে মেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। টক দই ব্যবহারের ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও মসৃণ।
পর্যাপ্ত ঘুম, প্রচুর পানি পান আর সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমেই ঘরোয়া পদ্ধতিতেই আমরা পেতে পারি ব্রণ ও দাগহীন সুন্দর ত্বক।
wWw.FB.Com/mNews24
Subscribe to:
Posts (Atom)