Translate

Thursday, March 24, 2016

নতুন কমিটি হতাশা, উৎকণ্ঠা, যন্ত্রণায় বিএনপি নেতারা!


কাউন্সিলে বিএনপি নেতারা
ঢাকা : কাউন্সিল অধিবেশনের আগেই বিএনপির চেয়ারপারসন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। পরে তা কাউন্সিলে কণ্ঠভোটে অনুমোদন হয়। মাত্র দুই জন নতুন নেতা দিয়ে চলছে বিএনপির কার্যক্রম।
কাউন্সিল অনুষ্ঠনের প্রায় সপ্তাহ শেষ হতে চললেও নতুন নেতাদের নামের খবর নেই। পুরাতন কমিটির নেতাদের মধ্যে নেতৃত্ব শূন্যতা বিরাজ করছে। নতুন কমিটির বাকি মুখের অপেক্ষায় নেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে যন্ত্রণা।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা রফিক সিকদার বাংলামেইলকে বলেছেন, ‘এখনও সাবেক হইনি। নতুন কমিটির কোথায় জায়গা হবে তাও জানি না। আশা করছি, একটা ভালো কমিটি উপহার পাব।’
নতুন কমিটির অপেক্ষায় নেতাদের মনে যন্ত্রণা অনুভূত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন কমিটির অপেক্ষায় আমাদের উচ্ছ্বাস রয়েছে। আমরা উদগ্রীব। শিগগিরই নতুন কমিটি হোক।’
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমিটি বিলম্বিত হওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
বিএনপির মধ্যম সারির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘কাউন্সিলের আগেই চেয়ারপারসন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। কাউন্সিল অধিবেশনে ন্যূনতম মহাসচিব ঘোষণার প্রত্যাশা ছিল, তাও হয়নি। সপ্তাহ শেষ হতে চলল, নতুন নেতাদের খবর নেই।’
বিএনপি নেতারা দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এক ধরনের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ রয়েছে দাবি করে এই নেতা বলেন, ‘আমাদের নতুন কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গেছে। কাউন্সিলে আমরাও নতুন পদে যাওয়ার জন্য চেয়ারপারসনের কাছে সকল ক্ষমতা দিয়েছি। সঙ্গত কারণে নৈতিকভাবে পুরাতন পদ আর সেই ভাবে ওন করা যায় না। আবার পদ না পাওয়া পর্যন্ত দলে নতুন পরিচয়ও হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘নেতাদের বাসায় কর্মীদের ভিড় থাকে। নতুন কমিটিতে পদ হচ্ছে দলের নেতাকর্মীদের জন্য পুরস্কার। কমিটি নিয়ে চেয়ারপারসন খুবই সতর্ক রয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, স্থায়ী কমিটি বা পাশাপাশি পর্যায়ের কোনো সদস্য নতুন নতুন কমিটিতে একদম পেছনের সারিতে চলে গেছেন তার পেছনে কর্মীরা তাদের সময় নষ্ট করবে না। আবার পেছনে থাকা কোনো ত্যাগী নেতাকে সামনে আনলে কর্মীরা তাকে মূল্যায়ন করতে ভুল করবে না। কর্মীরা কোন নেতার রাজনীতির ছবক নিতে যাবে আর কোন নেতার কাছে গেলে তাদের ক্যারিয়ার হুমকিতে পড়বে তা নিয়ে ভাবনাও রয়েছে।’
কমিটি ঘোষণায় বিলম্ব এবং এর জন্য নেতাদের মধ্যে নেতৃত্ব শূন্যতার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বাংলামেইলকে বলেছেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য নেতারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকবেন।’

Dipu Chowdhury / 25.03.2016

দুঃসহ স্মৃতির ২৫ মার্চ আজ



ঢাকা : স্বাধীনতা ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে নিরস্ত্র মানুষ হত্যার পৈশাচিক উল্লাস দেখে স্তম্ভিত হয়েছে বিশ্ব। দুঃসহ সেই স্মৃতি তাড়ানিয়া ২৫ মার্চ আজ। একাত্তর সালের এই দিনের সূর্য অস্তাচলে গেলে যে রাত এসেছিল এই বাংলায়, বাঙালির ইতিহাসে তা গভীর বেদনার ও শোকের। মানবসভ্যতার ইতিহাসে বর্বর গণহত্যার দিন হিসেবে চিহ্নিত।
বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে এই রাতের মধ্য প্রহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ অভিযানে ট্যাংক, কামান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। ঢাকা সেনানিবাস থেকে রাতের অন্ধকারে ভয়ানক সব মারণাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায়। লক্ষ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রাবাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বস্তিবাসীও এ হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও আশপাশের বস্তির বাসিন্দাদের। এ যেন ছিল মানুষ হত্যার মহোৎসব।
পাকিস্তানি বাহিনীর হামলার আরেক লক্ষ্যস্থল ছিল তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রাইফেলস (ইপিআর) সদর দপ্তর ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন। ইপিআর (পরে বিডিআর, বর্তমানে বিজিবি) ও পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত সদস্যরা বীরত্বের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ট্যাংক ও ভারী অস্ত্রের মুখে পিছু হটতে হয় তাদের।
হামলার পাশাপাশি শহরের যত্রতত্র আগুন ধরিয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। হামলা চালানো হয় পুরান ঢাকার হিন্দু-অধ্যুষিত এলাকায়ও। রাতের আঁধারে পাকিস্তানি বাহিনীর ‘অপারেশন সার্চলাইট’ হামলায় নিহত হয়েছে অগণিত মানুষ। এত ব্যাপক সংখ্যক মানুষ হত্যার নজির ইতিহাসে বিরল।
এই গণহত্যা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তার এ ঘোষণা পিলখানা তৎকালীন ইপিআর ওয়ারলেস হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এ ঘোষণা পাঠ করেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আবদুল হান্নান। ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে একই ঘোষণা পাঠ করেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি সদস্য মেজর জিয়াউর রহমান।
মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা, ইপিআর, পুলিশ সদস্যদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যায় বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ। হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু হয়ে যায় দেশের সর্বত্র। এ প্রতিরোধ পরবর্তীতে রূপ নেয় জনযুদ্ধে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।

Dipu Chowdhury

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের মেদাবি ছাত্রি তনু হত্যার সাথে সেনাবাহিনির হাত।

মুরাদনগর থানার মিরজাপুর গ্রামের তনু হত্যার সাথে,  সেনা সন্যদের হাত ১০০% প্রমানিত।
কষ্ট হলেও একটু পড়ুন,।।।।
তাহলে কারা কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী তনুকে
প্রথমে ধর্ষণ তারপর গলা কেটে
হত্যা করলো??!!!
সর্ষে ক্ষেতেই ভূত নয়তো????????
.
কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায়
এমন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড! তনুও
থাকে সেনানিবাস এরিয়ায়!
এমনকি ঘটনার দিন সে ওই এলাকার
বাইরেও যায়নি কিন্তু!!
.
যেই স্থানে তনুকে ধর্ষণ করা
হয়েছিলো তার আশেপাশে CCTV
আছে৷ তাহলে ঐসব ফুটেজ গ্যালো
কই??
আচ্ছা বাদ দেন...আমাদের দেশে
তো আবার CCTV থাকে মাগার
ফুটেজ থাকেনা...
সেনাবাহিনীর CCTV ফুটেজও
মেবি 'হ্যাক' হইসে....
.
কিছুক্ষণ পরপর এমপি, এফআই,
ডিজেএফআই, আরপি টহল হয় কিন্তু ওই
জায়গায়!!
ঘটনাস্থলের খুব কাছেই দুইপাশে
সেনা ক্যাম্প আর কোয়াটার আছে!!
তাইলে ক্যামনে কি!!!??
.
সেনানিবাস এলাকায় ঢুকতে
গেলে আপনার ১৪ গুষ্টির তথ্য দিয়ে
ঢুকতে হবে.....তাহলে ধর্ষকরা যদি
বাইরে থেকে ঢুকে থাকে তবে
সেনাবাহিনীর কাছে নিশ্চই সেই
তথ্য আছে!!??
.
সঠিক কারণ এবং কারণের যৌক্তিক
প্রমান দেখানো ছাড়াও তো
সেনানিবাসে ঢুকাও যায়না!!
আপন ভাইয়ের সাথে দেখা করতে
গিয়ে গোটা একদিন গেটে
কাটাতে হয়েছিলো একবার!
.
তবে কারা????
উহুঁ! আমি বলছিনা সেনা সদস্য
জড়িত! আমাদের সেনাবাহিনী
তো দুধে ধোয়া তুলশী!! ওরা মানুষ
না, সেনা...! ওদের যৌন আকাংখা
নাই!
যদিও মাঝেমাঝে পার্বত্যাঞ্চলে
বেশিরভাগ ধর্ষণে সেনাবাহিনীর
সদস্যদের নাম উঠে আসে...!
(কবি এখানে আপাদত নীরব)
.
আচ্ছা!!
তনুকে তো একের অধিক ব্যাক্তি
ধর্ষণ করেছে বলে শুনা গেছে, তাও
ভদ্রভাবে! I mean প্রটেকশন ইউজ
করে....
তারমানে এই কাজের সাথে
জড়িতরা জানতো প্রটেকশন ছাড়া
করলে দ্রুত ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা
আছে! (সাধারণ কারো মাথায় এত
আধুনিক বুদ্ধি! ভাবা যায়??)
.
শুরু থেকে একটা কথা মাথায় ঘুরপাক
খাচ্ছে.....বলবো??
না থাক...উচিত কথা বললে
আপনারা বলবেন মোল্লা খারাপ...
.
Oke বলেই ফেলি...
তনুকে ইট দিয়ে আর ছুরি দিয়ে গলা
কেটে হত্যা করা হয়েছে....
হুবহু অনেকটা গুমগঞ্জের ৭ খুন
স্টাইলে আরকি....
আচ্ছা, ৭ খুনে কারা যেন অংশ
নিয়েছিলো??
(কিছু কথা থাকনা গোপন)
.
ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অনেক
সিভিলিয়ান থাকে কর্মচারী
হিসেবে.....নিজেদের কাজ
করে....যদি ধরে নেই তাদের দ্বারা
এই কাজ হয়েছে তাহলেও তো
আর্মির ভুমিকা নিয়ে একটা প্রশ্ন
চলে আসে!!!
.
না...আমি কিন্তু বাবার দাপটে
বাঁকা পথে চলা সেনা
অফিসারের ইনোসেন্ট ছেলেদের
কথা বুঝাতে চাইছিনা....পিলখ
ানার ভেতরে আবার এসব ফ্যাশন
হিসেবেই চলতো অহরহ...
(আর গভীরে যাবো না)
.
হত্যাকান্ডের পর তনুর বাসায় তার
কোনো সহপাঠিকে নাকি
সেনাবাহিনী ঢুকতে দেয়নি....৬
জন সহপাঠি অনেক কষ্টে শেষ দেখা
দেখতে পরেছে, তাও সেনাদের
কাছে নাকে খত দিয়ে.....! (এই
সতর্কতা ঘটনার আগে কই ছিলো?)
.
প্রমান হবার আগেই আমি হুদাই
সেনা-সিভিলিয়ান মিশিয়ে
খিচুড়ি বানিয়ে
ফেলেছি....আপনারা এগুলোতে
কান দিয়েন না.. (বাকি সব দিতে
পারেন)
.
আমার লিস্টে অনেক সম্মানিত
সেনা কর্মকর্তা এবং সেনা
কর্মকর্তার সন্তানেরা আছেন৷ মানুষ
মাত্রই ভুল আর যেকোনো সময়
অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা
মানুষের মাঝে থাকে৷ সেনা-
সিভিলিয়ান কেউই সন্দেহের
উর্ধে নয়, অতীতে এমন অনেক নজির
আছে৷ So, please don’t get me wrong...
.
শেষ কথা হলো-
তনু তো মরে গিয়ে বাঁচলো, আমরা
বেঁচে আছি কেন?
মানুষ বেঁচে আছে কেন?
এভাবে বেঁচে থাকাকে কি
বেঁচে থাকা বলে?
মানুষ কি এভাবে বেঁচে থাকে?
একের পর এক আমাদেরই নাকের
ডগার ওপর দিয়ে এভাবে হারিয়ে
যাচ্ছে শত শত তনুরা! আমরা মরি না
কেন?
.
আমাদেরও মরে যাওয়াই উচিত! এসব
প্রতিরোধ/প্রতিকার করতে না
পারলে আমাদের মরে যাওয়াই
উচিত! বেঁচে থাকার অন্তত কোনো
অধিকার আমাদের নেই।
.
প্রতিটা দিন, প্রতিটা ক্ষেত্রে
হতাশার সংবাদ! আমরা শুধু
পিছিয়ে যাচ্ছি৷ বিচারহীনতার
সংস্কৃতি এখন স্বাভাবিক শব্দটির
থেকেও বেশি অস্বাভাবিক হয়ে
গেছে৷ অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা
একটা মেরুদন্ডহীন জাতিতে আমরা
দিন দিন অভূতপূর্ব সাফল্য দেখাচ্ছি!!
.
বেশিরভাগ মিডিয়াতেও এই
ব্যাপারে তেমন সাড়াশব্দ নেই-
কারণ কি??
হয়তো “আমি জুনায়েদ” বলে কেউ
ভিডিও করেনি বলেই....!!
.
তনু.....বোন আমার, তুই তো
বাংলাদেশের মানচিত্র।
.
এদেশে ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হলে
আন্দোলন হয়,
সাঁওতাল ধর্ষিতা হলে সিনেমা
হয়,
পাহাড়ি ধর্ষিতা হলে আন্দোলন
হয়,
সংখ্যালঘু ধর্ষিতা হলে তুফান ওঠে
মানবতাকর্মিদের ঠোঁটে...
.
বোন, তোর মত বাংলাদেশী ধর্ষিত
হলে আমরা নীরব থাকি, কারণ তুই
আমাদের কেউ না...
.
তোদের জন্য বিচার আগেও হয়নি,
কোনদিনও হবে না....
ধর্ষক জন্মদাতা এই সমাজের ধ্বংস
চাই, পরিবর্তন চাই....